রাজশাহী বিভাগীয় চীফ : পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের চক্রপাড়া গ্রামে এক কিশোরী ধর্ষনের শিকার হয়েছে।
কিন্তু ধর্ষক প্রভাবশালী ব্যক্তির সন্তান হওয়ায় ধর্ষিতার পরিবার থানায় অভিযোগ দিতে সাহস পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
গ্রামবাসী জানায়, গত শুক্রবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় চক্রপাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আফসার আলীর বিবাহিত পুত্র বখাটে আনিসুর রহমান আনিস (৩৫) ঐ কিশোরিকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণ শেষে পালানোর সময় স্থানীয় লোকজনের কাছে হাতে নাতে ধরা পড়ে বখাটে আনিস ।
পরে আপোষ-মীমাংশার কথা বলায় গ্রাম্য প্রধানের মধ্যস্থতায় ধর্ষককে ছেড়ে দেয়া হয়।
ধর্ষিতার দরিদ্র পিতা রব্বান আলী স্থানীয় ইউপি সদস্যের পরামর্শে বিষয়টি সামাজিক ভাবে নিষ্পত্তির জন্য গ্রামের প্রধান নুরুল ইসলাম খাঁর নিকট বিচার প্রার্থনা করেন।
গত রোববার (১৫ জুলাই) শালিসের দিনও ধার্য করা হয় কিন্ত অজ্ঞাত কারণে তা আবার স্থগিত করা হয়।
এর কারণ হিসেবে ইউপি সদস্য ও গ্রাম্য প্রধান নুরুল ইসলাম খাঁ ধর্ষকের পিতার কাছ থেকে এক লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে ধর্ষিতার পিতা রব্বান আলী বলেন, মেয়ের এই ঘটনায় তারা মুখ দেখাতে পারছেন না।
আবার গ্রামের প্রধান ধর্ষকের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়ে বিষয়টির সালিশ না করে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে বিচার না পাওয়ায় তার ওই মেয়ে কয়েকদিন ধরে ঘরে সেচ্ছায় বন্দি থেকে সোমবার (১৭ জুলাই) আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে।
এ বিষয়ে পার- ভাঙ্গুড়া ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়তুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ধর্ষকের পিতা আফসার আলী ইউপি সদস্য ও গ্রাম্য প্রধান নুরুল ইসলাম খাঁর কাছে এক লাখ টাকা জমা প্রদান করেছেন।
ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ঘটনাটির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না, তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।
ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণের বিচার না পেয়ে কিশোরীর আত্মহত্যার হুমকি

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।